চাঁদপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে জেলা বিএনপির সভাপতির নাম করে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় মো. মামুন গাজী (৩২) নামে যুবক আটক হয়েছে। তার সাথে ছাত্রদল পরিচয়ে ফজলু নামে আরেক যুবক জনতার মারধর খেয়ে পালিয়ে যায়।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে চাঁদপুর-রায়পুর সড়কের তরপুরচন্ডি এলাকায় পাসপোর্ট অফিসের ভেতরে এই ঘটনা ঘটে। আটক মামুন শহরের চেয়ারম্যানঘাট জিটি রোড দক্ষিণ এলাকার মোস্তফা গাজীর ছেলে। মারধর খেয়ে পালিয়ে যাওয়া ফজলু একই এলাকার। তবে তার পিতার নাম জানাযায়নি।
পাসপোর্ট অফিসের হিসাব রক্ষক মো. ফারুক হোসেন বলেন, সকাল থেকে আমরা পাসপোর্ট সেবা প্রার্থীদের কাজ করছিলাম। ওই সময় আটক মামুন আরও দুইজনসহ অফিসের নীচ তলায় মোবাইল দিয়ে ভিডিও ধারণ করছিলো এবং মামুন উচ্চ স্বরে বলতে থাকে এখানে আমাদেরকে এতদিন ডুকতে দেয়া হয়নি। এখানকার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আছে এবং সে টাকা দাবি করে একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে।
তিনি আরও বলেন, এক পর্যায়ে আমি তাকে দ্বিতীয় তলায় একটি কক্ষে এনে জিজ্ঞাসা করলাম তোমার সমস্যা কি? কোন কাজ থাকলে বল। সে সঠিক কোন উত্তর দিতে পারেনি। তাদের সাথের একজন ফোন করে বুঝাচ্ছে তিনি জেলা বিএনপির সভাপতিকে ফোন দিচ্ছেন। আসলে সঠিক নয়। এই সময়ের মধ্যে তাদের একজন বলে এই উনিতে তোমাদের ভিডিও করছে। এই কথা বলে আমার হাতে থাকা মূল্যবান ডিজিটাল ঘড়ি ছিনতাই করে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় মামুনকে আটকে রাখা হয়।
চাঁদপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক মোঃ ইউসুফ বলেন, অফিসে উচ্চ স্বরে কথাবার্তা শুনে আমি গিয়ে দেখি আটক মামুনসহ ৩জন। তারা অফিসের পুরো শৃঙ্খলা নষ্ট করে ফেলেছে। তার কাছে আমি জানতে চাই কার বিরুদ্ধে অভিযোগ আমাকে বলেন, আমি ব্যবস্থা নিব। সে বলতে পারে না। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে আটক করে আমরা কক্ষে রাখা হয়। এখানে আমাদের আনসার সদস্য আছে। তার বিরুদ্ধে আমি অভিযোগ লিখে প্রস্তুত করছি। দায়িত্বরত সেনাবাহিনীর কর্মকর্তার কাছে তাকে সোপর্দ করা হবে।
চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক বলেন, দেশের এমন পরিস্থিতিতে আমি প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাকে বলেছি আমার দলে হবে আগে শুদ্ধি অভিযান। আমার নাম বলেও কেউ পার পাবেনা। আমাকে তথ্য দিবেন। দুস্কৃতিকারী কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।