বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) মোবাইলে পাঠানো এসএমএসে এ আহ্বান জানান তিনি।
ক্ষুদে বার্তায় গভর্নর বলেন, ব্যাংকিং খাতের সংস্কার শুরু হয়েছে এবং দ্রুত ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। আপনারা আস্থা রাখুন এবং স্বাভাবিক ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করুন।
এদিকে বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) ব্যাংকিং খাত সংস্কারে ৬ সদস্যের একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এই টাস্কফোর্স আর্থিক খাত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন আইন সংস্কার, ব্যাংক খাতের সম্পদ, ঋণ, ঝুঁকি ও প্রকৃত আর্থিক অবস্থা নির্ণয় করবে। পাশাপাশি এ খাতের সংস্কার ও যুগোপযোগী করার প্রস্তাব এবং ব্যাংকিং খাতের শ্বেতপত্র প্রকাশ করবে। টাস্কফোর্সের সার্বিক সমন্বয় করবেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর।
টাস্কফোর্সের সদস্যরা হলেন, প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়-সংক্রান্ত বিশেষ দূত ড. লুৎফে সিদ্দিকী, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর মুহাম্মদ এ. (রুমি) আলী, ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারম্যান মেহরিয়ার এম হাসান, বিশ্ব ব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন, জেডএনআরএফ ইউনিভার্সিটি অব ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. এম জুবায়দুর রহমান এবং হুদা ভাসি চৌধুরী অ্যান্ড কোং পার্টনার সাব্বির আহমেদ।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, এ টাস্কফোর্স প্রধানত আর্থিক স্থিতিশীলতা রক্ষার্থে ব্যাংকিং খাতের বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতি, মন্দ সম্পদ এবং প্রধান প্রধান ঝুঁকিসমূহ নিরূপণ, দুর্বল ব্যাংকগুলোর আর্থিক সূচক পর্যালোচনা, ঋণের প্রকৃত অবস্থা নিরূপণ, প্রভিশন ঘাটতি নিরূপণ, তারল্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা, নিট মূলধন নির্ণয়, সম্পদের প্রকৃত মূল্য নির্ধারণ, সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের মন্দ সম্পদকে পৃথক করা সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা করবে।