নিজস্ব প্রতিবেদক || চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে শুরু হওয়া এই সংঘর্ষ রাতভর চলে এবং উভয় পক্ষের প্রায় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
টোরাগড় এলাকায় বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের দুই গ্রুপের মধ্যে শুরু হওয়া সংঘর্ষ পরে হাজীগঞ্জ বাজারে ছড়িয়ে পড়ে। এতে বাজারের দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায় এবং যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়। আতঙ্কিত জনতা বিভিন্ন দোকান ও হাসপাতালে আশ্রয় নেয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার থেকেই দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল এবং শুক্রবার সন্ধ্যায় তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। রাতে কয়েকটি মোটরসাইকেল ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে।
স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। রাত ১০টার পর সেনাবাহিনীও এসে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
উভয় পক্ষই নিজেদেরকে নিরীহ বলে দাবি করেছে এবং বিপক্ষ পক্ষকেই এই সংঘর্ষের জন্য দায়ী করেছে। তবে স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরেই এই দুই গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের লড়াই চলে আসছে।
হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপস শীল বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।
এই ঘটনা বিএনপির অভ্যন্তরীণ দুর্বলতা এবং আধিপত্য বিস্তারের লড়াইকে উন্মুক্ত করেছে। এটি দলীয় রাজনীতিতে নেতৃত্বের সংকট এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার উপর হুমকি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
এই ঘটনার পর হাজীগঞ্জে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও রাজনৈতিক অঙ্গনে এর প্রভাব পড়তে পারে। বিএনপির নেতৃত্বকে এখন এই সংকট মোকাবেলা করে দলকে একত্রিত করার চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হবে।
এই ঘটনা দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরে। রাজনৈতিক দলগুলিকে নিজেদের অভ্যন্তরীণ সমস্যা সমাধান করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করার দিকে মনোযোগ দিতে হবে।
মোঃ রেদোয়ান মজুমদার
২১/০৯/২০২৪