
জোবাইর বাঁশখালী ঃঃ — চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে গ্রীষ্মের শুরুতেই প্রচণ্ড তাপদহনে বিভিন্ন এলাকায় বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকটের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত ও হাহাকার হয়ে পড়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সারাদেশের বিভিন্ন জায়গায় এই সুপেয় পানির সংকট দেখা দিয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় বাঁশখালীর চাম্বল জলদাশ পাড়া, পুঁইছড়ি, ছনুয়া, শেখেরখীল, গন্ডামারা, শীলকূপ, কাথরিয়া, সরল, খানখানাবাদ, বাহারছড়া, বৈলছড়ি, পুকুরিয়া, সাধনপুর, কালীপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় সুপেয় পানির সংকট দেখা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার ( ২৮ এপ্রিল) উপজেলার চাম্বল জলদাশ পাড়ায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয় একজনের স্থাপন করা গভীর নলকূপ থেকে পাশ্ববর্তী কয়েক মাইলের লোকজন পানি নিয়ে যাচ্ছেন। সারিবদ্ধভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে নারীরা কলসি নিয়ে পানি নিয়ে যাচ্ছেন। এসময় তারা জানান, বিদ্যুৎ না থাকলে আমরা এই গভীর নলকূপ থেকে পানি পাই না। আমরা কয়েক মাইল দূর থেকে পানি নিতে আসি এখানে। পানি নিয়ে আমরা খুব কষ্টে দিনাতিপাত করছি। পানির অপর নাম জীবন। বলতে গেলে আমরা সেই জীবন নিয়েই সংকটাপন্ন অবস্থায় আছি।
স্থানীয় গুরুধন জলদাশ জানান,১৯৯৭ সাল হতে আমাদের পাডায় কোন সুপেয় পানির টিউবওয়েল নেই।জনপ্রতিনিধিদের কাছে ধর্না দিয়েও কোন ধরনের প্রতিকার পাওয়া যায়নি। বর্ষা মৌসুম শেষ হলেই আমাদের এলাকায় বিশুদ্ধ পানির জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়। আমরা পানি নিয়ে খুব কষ্টে আছি। এখানে একটি নলকূপ স্থাপন করা খুবই জরুরী। আমাদের খুব উপকার হবে। এবিষয়ে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরী বলেন,জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিভিন্ন জায়গায় সুপেয় পানির সংকট দেখা দিয়েছে। চাম্বল জলদাশ পাড়াসহ বাঁশখালীর বিভিন্ন এলাকায় সুপেয় পানির সংকট নিরসনে খুব দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তাছাড়া শীগ্রই চাম্বল জলদাশ পাডায় গভীর নলকূপ বসিয়ে পানির সংকট দূর করা হবে বলেও তিনি জানান।
জোবাইর চৌধুরী০১৭১৯৩৮১৮৬৮/০১৮১৫৭৫৩৪৬৫